তিনি ছিলেন যেমন বিতর্কিত, তার চেয়েও বেশি মজলুম। শেকড় সন্ধানী লেখক হওয়ায় বাতিলের কোনো দূর্গকে ছেড়ে দেননি।
এক এক করে ভেঙে দিয়েছেন কুচক্রী ও অপব্যাখ্যাকারীদের কল্পিত প্রাসাদ। মুসলিমদের আকিদা-বিশ্বাস ও মনোজগতে নানামুখী বিভ্রান্তির সেই ক্রান্তিকালে সংস্কারের ঝড় বইয়ে দেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া।
এরিস্টটলের নাস্তিক্যবাদি দর্শনে যখন ইলমে কালাম হারাতে বসেছিল নিজের স্বকীয়তা, তখন তাঁর কলম আগলে ধরেছিল কালাম শাস্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে।
শিআ ও খ্রিষ্টবাদের বিকৃতি চুরমার করেছেন শব্দবোমার আঘাতে। তৎকালীন মুসলিম সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও ভ্রান্ত মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত।
ইবনে তাইমিয়া ছিলেন জনগণের ইমাম। বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ও সত্যের পক্ষে বুলন্দ আওয়াজে প্রবাদপুরুষ। সপ্তম শতাব্দীর জ্ঞান-গবেষণার অদ্বিতীয় সম্রাট। প্রাজ্ঞ ও বরণীয় এ ইমামকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করেও শত্রুরা তাঁর পিছু ছাড়েনি।
লেখনী স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য কাগজ-কলম ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে তিনিও দমে যাওয়ার পাত্র নন। কয়লা দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ছেড়া কাগজে লিখে গেছেন অব্যাহতভাবে। মুসলিম গবেষণার ইতিহাসে তাঁর সেসব লেখনী আজও মাইলফলক।।