বই সংক্ষেপ: ছোটবেলায় আল-ফুলাইলার গল্প পড়তে গিয়ে আমরা পরিচিত হয়েছিলাম হারুনুর রশিদের সঙ্গে। হাজার বছর আগের একজন আব্বাসি খলিফা গল্পের মধ্য দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন আমাদের কল্পরাজ্যে। চোখ বুজলে আমাদের সামনে ভেসে উঠত হারুনুর রশিদের মনোরম প্রাসাদ, বাগদাদের ফুলের বাগান এবং নগরের মনমাতানো সৌন্দর্য।
নানা গল্পের মধ্য দিয়ে আমাদের হৃদয়পটে বাগদাদের যে চিত্র অংকিত হয়েছে—তা মূলত কল্পনা, বাস্তবতা থেকে অনেক আলাদা। তবে আমাদের উৎসুক মন বার বার সেই বাগদাদ খুঁজে ফিরে যে বাগদাদ ছিল হারুনুর রশিদের। কল্পনায় আমরা হেঁটে বেড়াই সেই বাগদাদের অলিগলিতে। মোহিত হই তার ঐশ্বর্যের কথা ভেবে।
কেমন হত যদি আমরা সেই বাগদাদ থেকে সত্যি সত্যি ঘুরে আসতে পারতাম? হাজার বছর আগের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাগদাদ যদি ফিরে পেতাম সেই রূপে?
অসম্ভব মনে হলেও তা আমাদের জন্য সম্ভব করে দিয়েছেন প্রথিতযশা মিশরীয় লেখক আহমাদ আমিন। তিনি হারুনুর রশিদ ও তাঁর রাজ্যের এক অনন্য চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন বক্ষ্যমান বইয়ের মধ্য দিয়ে। হাজারও প্রাচীন গ্রন্থের পৃষ্ঠা ঘেঁটে এসব তথ্য তিনি হাজির করেছেন আমাদের দৃষ্টির সামনে। এই বই পড়ে পাঠক অনুভব করবেন, তিনি যেন ফিরে গেছেন হাজার বছর আগের আব্বাসি খেলাফতের রাজধানী বাগদাদে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পের রাজ্যে, যেখানে সমাসীন আছেন খলিফা হারুনুর রশিদ স্বয়ং।
কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালি দিনগুলো এই বইয়ের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে উঠবে পাঠকের সামনে। শুধু একপাশ থেকে নয়, ৩৬০ ডিগ্রি চিত্রের মতো পাঠক সেই সময়কে দেখতে পাবেন চারপাশ থেকে। কেমন ছিল সেই সময়ের মানুষের সাধারণ জীবন, কেমন ছিলেন খলিফা ও তাঁর আমির-উমারাগণ, কেমন ছিলেন সেই সময়ের জ্ঞানী ও বিদ্বানরা এবং কেমন ছিল সে সময়ের কবিতা-গান, মানুষের খাবার-দাবার ও জীবনাচরণ। নানা ঘটনাবলি ও বর্ণনার মধ্য দিয়ে এসব বিষয় বিমূর্ত হয়ে উঠবে পাঠকের সামনে।